পিরোজপুরের নেছারাবাদে কামারকাঠি গ্রামে মজিবুর রহমান নামে এক চল্লিশ উর্দ্ধো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে এলাকার নাসির ও হামজা নামে দুই ব্যক্তি স্থানীয় শালিস বিচারের মাধ্যমে ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গত ২৫ জানুয়ারি দুপুরে মুজিবর রহমান মেয়েটিকে ফুসলিয়ে এলাকার জনৈক এক ব্যক্তির ঘরে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষন চালায়। মেয়েটির পরিবারসহ এলাকার ইউপি সদস্য ও বিভিন্ন প্রতিবেশিরা সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
তবে মেয়েটির মা ও ফুফু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম মুইদুল ইসলাম এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার করবেন বলে তাদের কে আস্বস্ত করেছেন। এজন্য তারা কোন থানা পুলিশ করতে চাননা। চেয়ারম্যান যখন কথা দিয়েছেন তখন তাকে ডিঙ্গিয়ে থানা পুলিশ করা উচিৎ হবেনা। ধর্ষিতা ওই কিশোরী মেয়েটি একটি সামন্য চা দোকানের কর্মচারীর মেয়ে।
সরেজমিনে ধর্ষিতার মা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন তিনি দুপুরে পাশের বাড়ী গিয়েছিলেন। বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মেয়ে তাকে খুজতে বের হয়। এসময় প্রতিবেশি মুজিবর রহমান পথিমধ্যে মেয়েটিকে একা পেয়ে ফুসলিয়ে নিয়ে জোড়পূর্বক খারাপ কাজ করে। পরে এলাকার কিছু লোক দেখে ফেললে ঘটনাটি এককান দু‘কান করে জানাজানি হয়। মেয়ের এ ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার হবে বলে চেয়ারম্যানের আশ্বস্ততায় পরিবারটি অপেক্ষায় আছেন।
ঘটনাটি শালিস বিচারে সমাধানের চেষ্টাকারী এলাকার নাসির বলেন, ওই দিন মেয়েটি রাস্তা দিয়ে যাওয়াকালে মুজিবর তার হাত ধরে টান দিয়েছে। বেশি কিছু হয়নি। তবে সাবেক চেয়ারম্যান মুইদুল ইসলাম এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার করবেন। পরিবারটির অযথা থানা পুলিশের দরকার কি?
ইউপি সদস্য মো. মাসুম বলেন, আমি ঘটনা শুনে ধর্ষিতার বাসায় গিয়েছিলাম। কিশোরী মেয়েটি তার মায়ের সামনে আমাকে ঘটনা খুলে বলেছে। এলাকার মুজিবর রহমান এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে শুনেছি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুইদুল ইসলাম এঘটনার বিচারভার নিয়েছেন। তিনি এর সুষ্ঠ বিচার করবেন।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম মুইদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ওরা সবাই গরীব মানুষ। আমি এর সুষ্ঠু বিচার করবো। তিনি কিভাবে সুষ্ঠু বিচার করবেন এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেননি, এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply